WELCOME TO JAMIA KHATAMUN NABIYEEN
জামেয়া
খাতামুন্নাবিয়্যীন
ইসলামী ও আধুনিক
শিক্ষার অপূর্ব সমন্বয় একটি আদর্শ দ্বিনী শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান
প্রতিষ্ঠাতা
প্রিন্সিপাল
মাওলানা আশিকুর রহমান
কাসেমী
পাঠ্যক্রমের মূলনীতি ঃ
আল্লাহ তাআ'লাই হইতেছেন সকল জ্ঞানের উত্স, তিনিই হচ্ছেন
একমাত্র সর্বস্রষ্ঠা৷ তিনি মানব জাতিকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসাবে
সৃষ্টি করিয়াছেন৷মানুষের কাজ হইতেছে প্রথমত বিশুদ্ধ ঈমান লইয়া মহানবীর
আদর্শমতে এবং নির্ভেজাল অন্তরে আল্লাহর ইবাদত করা৷ মানুষের সকল
কাজকর্মের একমাত্র উদ্দেশ্য হইতেছে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন৷
কুরআন-সুন্নাহ হইতেছে আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান ভান্ডার৷
এতদউভয় গবেষণার ফলে জ্ঞানগত শাখা-প্রশাখা গুলোকে
শিক্ষাথর্ীদের জন্য প্রধানত তিন ভাগে বিভক্ত করা যাইতে
পারে৷
যথা ঃ (১) ধর্ম বিজ্ঞান
(২) মানব বিজ্ঞান ও
(৩) প্রকৃতি বিজ্ঞান৷
এই শাখা গুলোর সবই ধর্ম বিজ্ঞানের মাধ্যমে জ্ঞানের প্রকৃত উত্স
আল্লাহ পাকের সাথে সম্পর্কিত৷ যথাক্রমে সংজ্ঞায়িত৷
(১) মানুষ সৃষ্টজীব৷ তাই সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ পাকের সাথে তার যে
সম্পর্ক
রয়েছে তা ধর্মবিজ্ঞানের মাধ্যমে জানিতে হইবে৷
(২) মানুষ স্বভাবগত ভাবে সামাজিক৷ একাকী বসবাস করিতে
পারেনা,
সুতরাং তার সাথে অন্য মানুষের সম্পর্ক কি হইবে, কিভাবে হইবে, তা মানব
বিজ্ঞানের মাধ্যমে জানিতে হইবে৷
(৩) যেহেতু মানুষ অন্যান্য সৃষ্টকে ব্যবহার করে তাই সে সম্পর্কে
তহাকে
প্রকৃতি বিজ্ঞানের মাধ্যমে জানিতে হইবে৷ এমনভাবে তাহাকে মানব বিজ্ঞান
ও প্রকৃতি বিজ্ঞান জানিতে হইবে, যাহাতে সে সব কিছুতেই সৃষ্টিকর্তার
কুদরত ও দয়ার প্রমাণ খুজিয়া পায়৷ অর্থ্যাত্ ধর্ম বিজ্ঞানই হবে মানব
বিজ্ঞান ও প্রকৃতি বিজ্ঞানের মাপকাঠি৷
সুতরাং কুরআন-সুন্নাহের জ্ঞানে যারা উন্নত জ্ঞানী হইবেন, তাদেরকে
জ্ঞানের অন্যান্য শাখা সম্পর্কেও ধারণা থাকা প্রয়োজন৷ এ প্রয়োজনীয়তাকে
সামনে রাখিয়া জামেয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন-এর পাঠ্যক্রম প্রস্তুত করা
হইবে৷
৬৷ পাঠ্যক্রম নিরূপন ও নির্ধারণ ঃ
আল্ আয্হার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মিসর, ইসলামী
বিশ্ববিদ্যালয়
দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারত৷ জাতীয় শিক্ষা বোর্ড বাংলাদেশ৷ কাওমী
মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড৷ সরকারী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বাংলাদেশ৷ ইংরেজীর
ক্ষেত্রে ইংল্যান্ড, ইত্যাদি৷ দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এবং
জামেয়া কর্তৃক রচিত বই-এর সমন্বয়ে, জামেয়া খামুন্নাবিয়ীন-এর শিক্ষা
নীতির অধীনে, জামেয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন-এর শিক্ষা পরিষদ কর্তৃক
অনুমোদন সাপেক্ষে পাঠ্যক্রম নিরূপন ও নির্ধারণ করা হইবে৷
৭৷ তারবিয়্যাত ঃ-(আমল, আখলাক ও নৈতিক চরিত্র গঠন)
তারবিয়্যত, তাযকিয়া, নৈতিক চরিত্র গঠন ও আত্নশুদ্ধির কথা
পবিত্র
কুরআন সুন্নায় অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বর্ণিত হইয়াছে৷ তাযকিয়ায়ে নাফ্স তথা
আত্মশুদ্ধি প্রতিটি মানুষের জন্য ফরয৷ এরই মাধ্যমে বান্দাহ আল্লাহর
নৈকট্য লাভে ধন্য হয়৷ সুতরাং আমল-আখলাক ও তাযকিয়ায়ে নাফ্স বিহীন ইলম
অর্জন অর্থহীন৷ এই প্রতিষ্ঠানের সকল ছাত্রদের কে নির্ধারিত সিলেবাস ও
নির্ধারিত পদ্ধতির মাধ্যমে এ বিষয়ে অবগত করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ
করা হইবে৷ যাতে করিয়া প্রতিটি ছাত্রের ইলমের সাথে তাহার আমলের মিল
থাকে এবং যোগ্য মুবালি্লগ হিসাবে নিজেকে গঠন করিতে সক্ষম
হয়৷
৮। দাওয়াত ও তাবলীগ
হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম থেকে শুরু করিয়া সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ
নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম, পর্যন্ত সকল
নবী-রাসূলগণের মৌলিক দায়িত্ব ছিল দাওয়াত ও তাবলীগ৷ সুতরাং এই উম্মতের
আলেমগণ যারা নবীর ওয়ারিশ হইবেন, তাহাদের মৌলিক দায়িত্ব হবে পূর্ণ
দাওয়াত ও তাবলীগ৷ সঙ্গত কারণেই ছাত্রদের দাওয়াত ও তাবলীগের পদ্ধতিগত
জ্ঞান ছাত্র অবস্থায় তাহাদেরকে দিতে হইবে৷ সুতরাং ছাত্রদের জন্য এই
বিষয়ে যুগোপোযোগী ও বাস্তব কর্মসূচী গ্রহণ করা হইবে৷
৯৷ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ বিভাগ
ঃ
বর্তমান যুগে মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত
আলেম সমাজের মধ্যে গবেষণা ও প্রশিক্ষণ একেবারেই কম৷ ছাত্র সমাজেও
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তেমন কোন আগ্রহ পরিলক্ষিত হইতেছে না৷ উপরন্ত
বাংলাদেশে উচ্চ মানের গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা খুবই অপ্রতুল৷
গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ছাড়া কোন বিষয়ে বাস্তব ও পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করা
খুবই কঠিন৷ সুতরাং জামেয়া খাতামুন্নাবিয়্যীনে গবেষণা ও প্রশিক্ষণের
জন্য যুগোপযোগী বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা ও বাস্তব প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা
থাকিবে৷
১০৷ খিদমতে খালক (সমাজ সেবা)
বিভাগ৷
হযরত আবুহুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত,
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, নিশ্চয়
আল্লাহ তাআ'লা কিয়ামতের দিন বলিবেন, হে-আদম সন্তান্#৬১৪৭৩; আমি অসুস্থ
ছিলাম কিন্তু তুমি আমার সেবা-যত্ন করোনাইঃ বান্দাহ বলিবে হে-আমার রব৷
আমি কিভাবে আপনার সেবা করিবো আপনিতো রাব্বুল আলামীন, সমগ্র সৃষ্টি
জগতের প্রতিপালক৷ প্রতি উত্তরে আল্লাহ তাআ'লা বলিবেন তুমি কি জানিতেনা
(ইহকালে) আমার বান্দাহ্ অসুস্থ ছিল কিন্তু তুমি তার সেবা করোনাই৷ তুমি
কি জানিতেনা যদি তুমি তাহাকে সেবা করিতে তবে তুমি আমাকে (আল্লাহকে)
সেখানেই অর্থাত্ তাহার কাছেই আমাকে পাইয়া যাইতে৷
কিয়ামতের দিন আল্লাহ বলিবেন
হে-আদম-সন্তান, আমি তোমার নিকট (ক্ষুধার্থ অবস্থায়) আহার চাহিয়ছিলাম
কিন্তু তুমি আমাকে খাবার দাওনাই৷ বান্দাহ বলিবে, হে-আমার রব্#৬১৪৭৩;
আমি কিভাবে আপনাকে আহার করাইতাম, আপনিতো রাব্বুল আলামীন৷ প্রতি উত্তরে
আল্লাহ বলিবেন তোমার নিকট আমার বান্দাহ খাবার চাহিয়াছিল কিন্তু তুমি
তাকে খাবার দাওনাই৷ তুমি কি জানিতেনা তখন যদি তুমি আমার বান্দাহ কে
খাবার দিতে তবে সেটা তুমি আমার নিকট পাইয়া যাইতে৷
হে-আদম সন্তান! আমি আল্লাহ তোমার নিকট
পিপাসার্থ অবস্থায় পানি চাহিয়াছিলাম কিন্তু তুমি আমাকে পানি পান
করাওনাই৷ বান্দাহ বলিবে হে আমার রব! আমি কিভাবে আপনাকে পানি পান
করাইতাম৷ আপনিতো সমগ্র জাহানের প্রতিপালক৷ প্রতি উত্তরে আল্লাহ
বলিবেন, আমার অমুক বান্দাহ তোমার নিকট পানি চাহিয়াছিল কিন্তু তুমি
আমার বান্দাহকে পানি দাওনাই৷ যদি তুমি তাহাকে পানি পান করাইতে তবে
তাহা আমার নিকট তুমি পাইয়া যাইতে৷ আল-হাদীস, মুসলিম
শরীফ
অন্য হাদীসে আল্লাহর রাসুল
সাল্লাল্লাহু আলাইওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা জগতবাসীর উপর দয়া কর৷ আস্মান
বাসী অথর্াত্ আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়া করিবেন৷
আল-হাদীস
উল্লেখিত হাদীসদ্বয়ের আলোকে এতীম,
গরীব, অসহায়দের পড়া-লেখা, চিকিত্সা, সাহায্য, প্রতিপালন সহ
দুস্ত-মানবতার সম্ভাব্য সবরকম সেবার কর্মসূচী প্রণয়ন করতঃ তা
বাস্তবায়নের চেষ্টা করা৷
১১৷ উপ-বিভাগ সমূহ
(১) ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ (শিক্ষা
বিভাগের অন্তভর্ুক্ত) ঃ
(আরবী, বাংলা ও ইরেজী ভাষার
সমন্বয়ে)
এই বিভাগে সীমিত সংখ্যক ছাত্র গ্রহণ
করা হইবে৷ সাহিত্য ও সম্পাদনা সহ আরবী এবং ইংরেজী ভাষায় অনর্গল
বক্তৃতা করিবার যোগ্যতা অর্জন করাই হবে অত্র বিভাগের মূল
উদ্দেশ্য৷
(২) কারিগরী
বিভাগ৷
(৩) কৃষি ও চাষাবাদ
বিভাগ৷
(৪) মেডিক্যাল
বিভাগ৷
Copyright@2012 |
Khatamunnabiyeen.net All rights reserved.