ফেব্রুয়ারী ২০০১ সনে ১০ নং মিরপুরস্থ জামেয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন এর অস্থায়ী কার্যালয়ে মাওলানা আশিকুর রহমান কাসেমীর আহবানে ঢাকার শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরামের একটি পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রায় ২৯ জন আলেম এতে অংশ গ্রহণ করেন৷ সভায় অন্যান্য বিষয় আলোচনার পর হযরত মাওলা আশিকুর রহমান কাসেমী সাভারস্থ বর্তমান জামেয়ার একটি অর্থবহ সুন্দর নাম রাখার জন্য প্রস্তাব পেশ করেন৷ সেমতে বিষদ আলোচনা ও প্রস্তাবনার পর উল্লেখিত জামেয়ার নাম '' জামেয়া ফারুকিয়া'' বলিয়া সাব্যস্ত করা হয়৷ তখনো জামেয়ার কোন উন্নয়ন কাজ শুরু হয় নাই৷ ২০০৩ সনে বিজ্ঞ আলেমগণ মাওলানা আশিকুর রহমান কাসেমীকে এই মর্মে পরামর্শ দেন যে, জামেয়াকে আল্লাহর দরবারে মঞ্জুর করানোর জন্য পবিত্র মাহে রমজানে একটি ওমরাহ আদায় করিলে ভাল হয়৷ আল্লাহর মেহেরবানীতে পরবতর্ী রমযান মাসেই জামেয়ার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল মাওলানা আশিকুর রহমান কাসেমী পবিত্র উমরাহ আদায়ের উদ্দেশ্যে মক্কাশরীফ রওয়ানা হইলেন, মক্কাশরীফ হইতে উমরাহ আদায় করিয়া মদীনাশরীফ চলিয়া গেলেন৷ মদীনাশরীফ থাকাকালীন সময়ে প্রতিদিন রওজা শরীফের যিয়ারত শেষে অত্যন্ত বিনয়ের সহিত রাব্বুল আলামীনের দরবারে জামেয়ার কবুলিয়াতের জন্য দোয়া করেন৷ বিশেষ করিয়া মদীনা শরীফ হইতে মক্কা শরীফে আসার পূর্বের রাতে তাহাজ্জুদের সময় রওজা শরীফের জিয়ারতের পর অত্যান্ত আবেগ ও ব্যাকুল ভাবে জামেয়ার কবুলিয়াতের জন্য দোয়া করেন৷ অতঃপর মক্কাশরীফের দিকে রওয়ানা হন৷ কিন্তু তার মন কখনও মদীনা শরীফ ত্যাগ করিতে চায় নাই৷ মক্কা শরীফ পৌছার পর বাইতুল্লাহ শরীফের সামনে মাতাফে বসে তিনি জীবনের প্রথম বারের মতো বাইতুল্লাহ শরীফের সামনে এক খতম পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন৷

 মাওলানা আশিকুর রহমান কাসেমী এই আমলকে জীবনের একটি শ্রেষ্ঠ আমল মনে করিয়া প্রিয় নবীর মহব্বতে মশগুল হয়ে তিনি প্রিয় নবীর নামে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রূহ মোবারকে হাদিয়া পৌছাইয়া দিলেন৷ অতঃপর জামেয়ার মাক্বুলিয়তের জন্য বাইতুল্লাহ শরীফের তাওয়াক শুরু করিলেন এবং অত্যন্ত বিনয়ের সহিত দোয়া করিতে থাকিলেন৷ এক পর্যায়ে তিনি পাগলের মতো বিলাপ করিতে লাগিলেন৷ রুকনে ইয়ামানীর বরাবর আসিয়া যখন তার হুস ফিরে আসিলো তখন তিনি নিজের মুখের আওয়াজ শুনতে পান যে, হে-আল্লাহ ''জামেয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন'' কে কবুল কর, হে-আল্লাহ ''জামেয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন'' কে কবুল কর৷